ল্যাপটপের যন্ত্রাংশের সার্ভিস ও আপগ্রেড তথ্য

ল্যাপটপের কি কি আপগ্রেপ করা যায় এবং কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে, তা সার্ভিস করানো সম্ভব তা জানা থাকলে বেশ ভালো হয়।
নিচে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশের সার্ভিস ও আপগ্রেড করার বিশেষ কিছু তথ্য দেয়া হলো-
১. প্রসেসরে কোন সমস্যা হলে তখন আর কিছু করার থাকে না। এমবেডেড প্রসেসর ( মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত ) হলে তা বদল করার উপায় নেই। তখন ল্যাপটপটিকে বাতিলের তালিকায় ফেলে দিতে হবে। ওয়ারেন্টি থাকা অবস্থায় এ সমস্যা হলে বেঁচে যাবেন।
২. ডিসপ্লেতে সাধারন কোনো হলে তা সার্ভিস সেন্টার থেকে ঠিক করিয়ে নেয়া যাবে। তবে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেলে রিপ্লেস করতে হবে, যা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার।
৩. ল্যাপটপের ব্যাটারি আলাদা কিনে নেয়া সম্ভব। তবে তার মডেল, পাওয়ার ইনপুট/আউটপুট, বিদ্যুৎ প্রবাহ, চার্জিং ক্যাপাসিটি সব কিছু মিলে যায় এমনটি কিনতে হবে। নষ্ট ল্যাপটপের ব্যাটারি বদল করার সময় অবশ্যই সাথে ল্যাপটপ নিয়ে যেতে হবে এবং নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে তা কাজ করে কি না নিশ্চিত হবার পর তা কিনতে হবে।
৪. ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক আপগ্রেড করা সম্ভব। হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়লে তা ঠিক করা সম্ভব। তাই হার্ডডিস্কে সমস্যায় তেমন একটা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তবে গুরুত্বপূর্ন ডাটা থাকলে তা রিকভার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. অপটিক্যাল ড্রাইভগুলো ক্ষমতা কমে গেলে তা রিড/রাইট করার ক্ষমতা চলে গেলে তা বদলে নেয়া যাবে।
৬. কীবোর্ড, টাচপ্যাড, ওয়েবক্যাম এসবে সমস্যা হলে তা ঠিক করা যায়, তবে তাতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন